সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
নিউজ ডেস্ক: শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড নিহতের পর যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশটির জনগণ। গত তিন সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলছে সেখানে। দোষী পুলিশ সদস্যকে বিচারের আওতায় আনাসহ পুলিশ বিভাগে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার দাবিও জানান আন্দোলনকারীরা। অবশেষে পুলিশ বিভাগে সংস্কার-সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে মঙ্গলবার সই করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর সংকটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। সম্প্রতি দেশটির কিছু অঙ্গরাজ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের সংখ্যা বেড়েছে।
মিনিয়াপলিস
পুলিশের বর্বর নির্যাতনে গত ২৫ মে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। এ ঘটনার পর মিনিয়াপলিস শহরের অন্তত সাত পুলিশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ছয়জনের।
মিনিয়াপলিস শহরের মুখপাত্র ক্যাসপার হিল সিএনএনকে বলেছেন, পদত্যাগকারী কর্মকর্তাদের ওই চারজনকে হিসাবে আনা হয়নি, যাদেরকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা বাদেই সাতজন পুলিশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন।
মিনিয়াপলিস পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র জন এল্ডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বলতেই হয় যে, পদত্যাগের সংখ্যাটা অনেক বড় এবং এটা ধীরে ধীরে সমস্যার দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, লোকজন (পুলিশ) চাকরি ছাড়ছেন অগণিত কারণে।
আটলান্টা
গত শুক্রবার রেশার্ড ব্রুকস নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে আটলান্টা। এ ঘটনায় আটলান্টা পুলিশ প্রধান পদত্যাগ করেছেন এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একজন সেকেন্ড অফিসারকে প্রশাসনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
চলতি মাসে আট পুলিশ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আটলান্টা পুলিশ।
দক্ষিণ ফ্লোরিডা
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ ফ্লোরিডা শহরের সোয়াট ইউনিটের ১০ কর্মকর্তা। একই সঙ্গে, আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কমান্ড কর্মকর্তার বিরূপ আচরণে নিজেদের অসন্তুষ্টের কথাও জানান তারা।
বাফেলো
নিউইয়র্কের বাফেলো শহর পুলিশের জরুরি সাড়া প্রদান টিমের অন্তত ৬০ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে তারা পদত্যাগ করেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, আন্দোলনকারী এক বয়স্ক ব্যক্তিকে মাটির সঙ্গে ঠেসে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।